লেখককে কিছু লিখতে হয় বলে লিখি। তাই 'শাদাব' বাক্যালোচনটাই করি। "লেখার সঙ্গে সোনার মহরের সম্পর্ক যতো কমই থাক না কেনো, পরশমণি হওয়ার ধারণা জন্মেই যায়। বস্তুত ভালো লেখা পরশমণির সগোত্র বটে! যিনি লিখেন, তিনি যা হবার হন। যিনি পড়েন তারও সণত্বাপ্রাপ্তি ঘটে। গুণ থাকলে অবদানের কথা... আরও পড়ুন
লেখককে কিছু লিখতে হয় বলে লিখি। তাই 'শাদাব' বাক্যালোচনটাই করি। "লেখার সঙ্গে সোনার মহরের সম্পর্ক যতো কমই থাক না কেনো, পরশমণি হওয়ার ধারণা জন্মেই যায়। বস্তুত ভালো লেখা পরশমণির সগোত্র বটে! যিনি লিখেন, তিনি যা হবার হন। যিনি পড়েন তারও সণত্বাপ্রাপ্তি ঘটে। গুণ থাকলে অবদানের কথা আসে। ভাণ্ডারে থাকতে যিনি না দেন তিনি কৃপণ। তবে সাহিত্যের দান গ্রহণ করানো সহজ নয়। প্রকাশক প্রত্যাখ্যান করেন। চেনা লোক অবজ্ঞা দেখান। বন্ধুদের বই দিলে তারা না পড়ে আড়ালে হাসেন এবং এসব লেখা পড়ে সময় নষ্ট করতে চান না। একমাত্র লেখকের বাসারের মতো মুদী-বন্ধু আর কাদির আঙ্কেলের মতো ব্যাবসায়ী থাকলে বিনা পয়সার দান সাদরে গ্রহণ করেন পাতা ছিড়ে মশলা বেচবার জন্য। মায়ের কাছে কানা ছেলেও পদ্মালোচন।
প্রকৃতির দেওয়া অন্ধ স্নেহ না থাকলে মতো ব্যাবসায়ী থাকলে বিনা পয়সার দান সাদরে গ্রহণ করেন পাতা ছিড়ে মশলা বেচবার জন্য। মায়ের কাছে কানা ছেলেও পদ্মালোচন। প্রকৃতির দেওয়া অন্ধ স্নেহ না থাকলে অপত্যরা অকালে মারা পড়তো এবং সংসার হতো জনবিরল। ঠিক তেমনি নিজের লেখা সর্বোৎকৃষ্ট মনে না করলে অমূল্য সময় ব্যয় করে কেউ লিখতো না।" আমি গাল-গল্প ঝারি না। লেখককে লিখতে হয় বলে লিখি, ওই লেখা বিকোলেইতো দু'টা ভাত 'গিলি'! পাঠক আমার লেখা 'খেলে' প্রকাশক বেশি করে আমার লেখা ছাপবে। তখন আমার ইহকাল ও পরকালে কিছু 'দানা-পানি' জুটবে। লেখা ভালো হলেই তো পাঠক তা 'খাবে'। অতএব, গাল-গল্প ঝেরে লাভ কী? ওই করেছি, সেই করেছি, তেন করেছি ...? তাই লেখার কথাই বলি, আপনাদের জন্যই লিখেছি।
Title | কলমচর্চা |
Author | মুহসিন আল জাবির |
Publisher | আনোয়ার লাইব্রেরী |
ISBN | 9789849101710 |
Edition | 4th Printed, 2017 |
Number of Pages | 336 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |