“দুঃখ নদীর শতবাঁক” বইয়ের কিছু অংশ:
নীলক্ষেত ইসলামিয়া ও বাকুশাহ মার্কেটের ফুটপাতে ভিক্ষা করে কোরবান আলী। গাইবান্ধার ফুলছড়ি হতে নদীভাঙ্গা হয়ে এসেছিল সে ঢাকা শহরে। সাথে স্ত্রী শহরবানু, পুত্র হজরত এবং কন্যা ফুলজান। তারা উঠেছিল মগবাজার রেলওয়ে বস্তিতে। প্রথম প্রথম কোরবান আলীর দিনগুলো যাচ্ছিল ভালোই। শহরবানু পাশেই এক বড়লোকের বাসায় ঠিকা... আরও পড়ুন
“দুঃখ নদীর শতবাঁক” বইয়ের কিছু অংশ:
নীলক্ষেত ইসলামিয়া ও বাকুশাহ মার্কেটের ফুটপাতে ভিক্ষা করে কোরবান আলী। গাইবান্ধার ফুলছড়ি হতে নদীভাঙ্গা হয়ে এসেছিল সে ঢাকা শহরে। সাথে স্ত্রী শহরবানু, পুত্র হজরত এবং কন্যা ফুলজান। তারা উঠেছিল মগবাজার রেলওয়ে বস্তিতে। প্রথম প্রথম কোরবান আলীর দিনগুলো যাচ্ছিল ভালোই। শহরবানু পাশেই এক বড়লোকের বাসায় ঠিকা কাজ করতো। হজরত আলী ঢুকেছে এক মোটর গ্যারেজে। আর ফুলজান একবেলা বস্তির মকতবে যায়, অন্যবেলা এক বাসায় মাজাঘষার কাজ করে।
কোরবান আলী চালাতো রিকশা। তখন তার দেহে ছিল অসুরের শক্তি। রিকশা চালিয়ে মালিক মহাজন মিটিয়ে হাতে যা থাকতো আর সবার আয় মিলে তাদের দিনগুলো মন্দ চলছিলো না। ছাপা শাড়ী পরে শহরবানু যখন রেল লাইনের পাশ দিয়ে কাজ করতে যেতো তখন কেন জানি অজানা ভয়ে কোরবান আলীর মনটা কেঁপে উঠতো। বস্তির এই খোলামেলা পরিবেশে কোনো রাখঢাক নেই। শহরবানুর রূপের দিকে নজর দেয় অনেকেই। শহরের আলো-বাতাস লেগে তার দেহের লজ্জার গ্রন্থিগুলোও ঢিলে হয়ে গেছে।
Title | দুঃখ নদীর শতবাঁক |
Author | তমসুর হোসেন |
Publisher | আহসান পাবলিকেশন |
ISBN | 984-32-2944-4 |
Edition | February, 2006 |
Number of Pages | 64 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |