“বাঁধন বাড়ি” বইয়ের ভুমিকা অংশ থেকে নেয়া:
নিজের বাড়ি নিয়ে এত এত স্মৃতি, কোথা থেকে শুরু করবো, কোথায় শেষ করব ভেবেই পাচ্ছিলাম না। তাই লিখব লিখব করে উপন্যাস লেখায় হাত দিই বেশ দেরিতে। জুলাই এর উনিশ তারিখে সাহস নিয়ে শুরু করে দিই লেখা। তারপর নানান ঝুটঝামেলায় মাসখানেক লেখার সুযোগ হলো না।... আরও পড়ুন
“বাঁধন বাড়ি” বইয়ের ভুমিকা অংশ থেকে নেয়া:
নিজের বাড়ি নিয়ে এত এত স্মৃতি, কোথা থেকে শুরু করবো, কোথায় শেষ করব ভেবেই পাচ্ছিলাম না। তাই লিখব লিখব করে উপন্যাস লেখায় হাত দিই বেশ দেরিতে। জুলাই এর উনিশ তারিখে সাহস নিয়ে শুরু করে দিই লেখা। তারপর নানান ঝুটঝামেলায় মাসখানেক লেখার সুযোগ হলো না। দোলাচলে দুলতে দুলতে লেখা শেষ করলাম সেপ্টেম্বরের ছয় তারিখে। অর্থাৎ খুব অল্প সময়েই লিখে শেষ করেছি। তবুও বিশ্বাস রাখছি, পাঠক অসন্তুষ্ট হবে না বইটা পড়ে। গতবছর "ICU থেকে বলছি" উপন্যাসটা লিখেছিলাম আমার বাবার মৃত্যু নিয়ে। এ বছর "বাঁধন বাড়ি" উপন্যাসটা লিখেছি বাবার চলে যাওয়ার পর আমাদের বাড়ির শূন্যতা নিয়ে। তাই স্মৃতিচারণায় আগের বইয়ের সাথে এ বইয়ের কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যাবে স্বাভাবিকভাবেই। আশা করি, পাঠক তা বুঝতে পারবে।
আমাদের বাড়িটা প্রথমবারের মতো ম্লান হতে শুরু করেছিল যখন আমি আর আমার বড় বোন শহরে পড়তে এসেছিলাম। তার কিছু বছর পর দাদা মারা গেল। তখন আরও ভয়ানকভাবে শূন্যতা গ্রাস করল। দাদার মৃত্যুর বছর দুয়েক পরেই বাবা চলে গেল। বাবার মৃত্যুর পর বাড়িটার আলো যেন চিরকালের মতো নিভে গেল। বাড়িও হয়তো তার ঘরের মানুষের অপেক্ষায় থাকে। তাই বাড়ির জায়গায় দাঁড়িয়ে মানুষের মতো অনুভূতি নিয়ে আমি তুলে ধরতে চেয়েছি একটা পরিত্যক্ত বাড়ির আত্মত্মকথা। যেই গল্পে ফুলঝুরি ঐ বাড়ির সর্বশেষ এবং বেঁচে থাকা একমাত্র সদস্য। বাকি সবাই জীবনের হাটে বেচাকিনি শেষে ওপারে পাড়ি জমিয়েছে। সেই ফুলঝুরিই অনেক বছর পর বাঁধন বাড়িতে আসে। বাড়িটা তাকে খুঁটিনাটি সব জিনিসের গল্প শোনায়, সবকিছুর সাথে নিবিড়ভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়। মোট কথা হচ্ছে, আমি আমাদের পুরো বাড়িটাকেই আঁকতে চেয়েছি শব্দের মাধ্যমে; যেন বাড়িটা কোনোদিন পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও আমার বইয়ের মাঝে বেঁচে থাকতে পারে। বলা বাহুল্য যে, বাস্তবতার সাথে কিছুটা কল্পনাও মেশানো হয়েছে গল্পের প্রয়োজনে।
Title | বাঁধন বাড়ি |
Author | মোহনা জাহ্নবী |
Publisher | অধ্যয়ন প্রকাশনী |
Edition | 1st Published, February 2023 |
Number of Pages | 128 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |